এবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্থনি ব্লিনকেন গত ৩ মে চিঠি দিয়ে নতুন ভিসা নীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানায় বাংলাদেশকে। ওই চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ভূয়সী প্রশংসা’ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আজ বৃহস্পতিবার ২৫ মে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাকে তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী চিঠি দিয়েছে এবং ওই চিঠিতে অত্যন্ত সুন্দর কথা বলেছে। তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অপূর্ব চিঠি দিয়েছে…প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। এর আগে বুধবার ২৪ মে রাতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেন। সেখানে বলা হয়েছে নির্বাচনে কারচুপি বা সহযোগিতাকারীকে ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র।
এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, আমরা যে নীতি প্রকাশ করলাম, সেটি প্রধানমন্ত্রীর যে আগ্রহ অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন করার, সেটিকে আরও শক্তিশালী অবস্থানে নেওয়ার জন্য এটি ঘোষণা করা হয়েছে। সুতরাং তারা যেটি করেছে ভালো বলে তিনি জানান।
নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র একমত হওয়ার পরও কেন ভিসা নীতি ঘোষণা করা হলো, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি ভালো। দেখেন না দুষ্ট লোকেরা এখনো জ্বালাও-পোড়াও করে। গত পরশু পুলিশকে পিঠিয়েছে এবং বাস জ্বালিয়েছে। তারা কিছুটা সাবধান হবে। ভিসা কড়াকড়ি শুধু সরকারি দলের জন্য নয়, বিরোধী দলের জন্যও প্রযোজ্য হবে।
ওই চিঠি ৩ মে পাঠানো হলেও এত দিন জানাননি কেন, জানতে চাইলে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘তারা জানাক। তাদের নীতি আমরা জানাবো কেন? পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন যে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের ধারক ও বাহক। গত ১৪ বছরে আওয়ামী লীগ আছে বলেই গণতন্ত্র আছে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সরকার বদল হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটি প্রধানমন্ত্রী যা চাইছেন সেটিকে জোরালোভাবে সমর্থন করে বলে তিনি জানান।
তিনি জানান যে মার্কিন সরকার তাদের যে ভিসা নীতি গ্রহণ করেছেন, সেটির সঙ্গে আমরা যেটি চাই সেটির সঙ্গে মিল আছে। আমরা চাই সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন এবং এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বদ্ধপরিকর। কেউ কেউ অভিযোগ করে যে রাতের অন্ধকারে ভোট হয়ে যায় এবং সে কারণে আমরা স্বচ্ছ ব্যালট বক্স করেছি।
তিনি বলেন, তবে প্রায় আমি বলে থাকি, সরকারের আন্তরিকতা থাকলে এবং নির্বাচন কমিশনের ইচ্ছা থাকলে অনেক সময় অহিংস নির্বাচন হয় না। অনেক সময় অসুবিধা হয়। একটি হত্যাযজ্ঞ ছাড়া অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাইলে সব দল ও মত, সরকারি দল, বিরোধী দল, এনজিও, সুশীল সমাজ সবার সহযোগিতা দরকার। আমেরিকা যে নীতিটি ঘোষণা করেছে, সেখানে ওই কথা বলা হয়েছে।’